সংজ্ঞা :- অর্ধভেদ্য পর্দাবেষ্টিত প্রোটোপ্লাজমের যে ক্ষুদ্র অংশ উপযুক্ত পরিবেশে নিজস্ব উপাদানগুলো নিজেই তৈরি করে নিতে পারে তাকে কোষ বলে।
⇒ কোষই জীবের গঠন ও কার্যের একক। পূর্বসৃষ্ট কোষ হতে নতুন কোষের সৃষ্টি হয় । রবার্ট হুক নামক বিজ্ঞানি Cell বা কোষ কথাটির আবিষ্কারক ।
কোষের প্রকারভেদ :-
(ক) শারীরবৃত্তীয় কাজের ভিত্তিতে : কোষ দু' প্রকার। যথা-
১. দেহকোষ বা প্রাককেন্দ্রিক কোষ (Somatic Cell)।
আরও পড়ুন : দেহকোষ ও জননকোষের সংজ্ঞা, পার্থক্য ও উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা
(খ) নিউক্লিয়াসের গঠন অনুসারে : কোষ দু' প্রকার। যথা-
১. আদিকোষ (Prokaryotic Cell) ও
২. প্রকৃতকোষ (Eukaryotic Cell)।
(গ) নিউক্লিয়াসে উপস্থিত ক্রোমোজোমের সংখ্যার ভিত্তিতে কোষ দু' প্রকার। যথা –
২. হ্যাপ্লয়েড কোষ ( Haploid cell )।
২. প্রাণিকোষ (Animal Cell)।
আরও পড়ুন : আদিকোষ ও প্রকৃতকোষ কাকে বলে? পার্থক্য, বৈশিষ্ট, উদাহরণ
কোষের বৈশিষ্ট্য
- জীবনের প্রয়োজনীয় সকল আণবিক এবং গাঠনিক উপাদান কোষের মদ্ধ্যে বিদ্যমান।
- প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ভেতরে গ্রহণ করতে পারে ।
- কাঁচামাল ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় শক্তি সংগ্রহ করতে পারে ।
- সুনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে উঠতে পারে ।
- চারপাশের যেকোন উত্তেজনার প্রতি সাড়া দিতে পারে ।
- একটি Homeostatic অবস্থা বজায় রাখতে পারে ।
- কাল পরিক্রমায় অভিযোজিত হতে পারে।
- এটি সাইটোপ্লাজম ধারণ করে।
- কোষ কোষঝিল্লিতে আবদ্ধ।
- কোষ জীনগত তথ্য ধারণ ও প্রজন্মান্তরে সঞ্চারণ করে।
- কোষ বিপাক প্রদর্শন করে।
- নিদিষ্ট সময় পর কোষ মৃত্যুবরণ করে।
কোষের আয়তন
অধিকাংশ জীবকোষ এত ক্ষুদ্র যে খালিচোখে এদের দেখা যায় না। কোষের আয়তন সাধারণত ৫ মাইক্রন থেকে ১৫ মাইক্রন পর্যন্ত হতে পারে।ক্ষুদ্রতম আদিকোষ মাইকোপ্লাজমা (Mycoplasma gallisepticum)-এর কোষের ব্যাস মাত্র ০.১ মাইক্রন ।
উটপাখির ডিম সবচেয়ে বড় প্রাণিকোষ, যার মাপ ১৭ × ১২.৫cm (খোসা সহ)। এককোষী সর্বাপেক্ষা বড় উদ্ভিদকোষ হলো Acebularia নামক শৈবাল, যার দৈর্ঘ্য হলো ৫-১০cm।বহুকোষী উদ্ভিদের মধ্যে র্যামী নামক গাছের বাকলের একটি তন্তুর (একটি কোষ) দৈর্ঘ্য প্রায় ৫৫ cm হয়।
মানব দেহের দীর্ঘতম কোষ, স্নায়ুকোষের দৈর্ঘ্য প্রায় ১ মিটার পর্যন্ত (দেহের নিম্নাংশ থেকে পায়ের পাতা পর্যন্ত দীর্ঘ।