ঐতিহাসিক স্থান : সোনারগাঁও - রচনা Class 3, 4, 5

ভূমিকা : 

সোনারগাঁও বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। মুঘল আমলে এটি ছিল কাপড় তৈরির প্রসিদ্ধ স্থান ।

অবস্থান : 

ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলায় সোনারগাঁওয়ের অবস্থান। ঢাকা থেকে সোনারগাওয়ের দূরত্ব ২৭ কিলোমিটার।

সোনারগাঁওয়ের ইতিহাস : 

সোনারগাঁওয়ের পূর্ব নাম সুবর্ণ গ্রাম। ঢাকার আগে সোনারগাঁও ছিল দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার রাজধানী। ঈশা খাঁ ছিলেন এই অঞ্চলের শাসনকর্তা। ঈশা খাঁ তার স্ত্রী সোনাবিবির নাম অনুসারে এই অঞ্চলের নাম রাখেন সোনারগাঁও ।

সোনারগাঁওয়ের আকর্ষণীয় স্থানসমূহ : 

সোনারগাঁওয়ের প্রধান আকর্ষণসমূহ হলো গোয়ালদি মসজিদ, পানাম নগর, লোকশিল্প জাদুঘর ।

আরও পড়ুন :- আমাদের গ্রাম - রচনা [  ক্লাস 2, 3, 4, 5 ] - ২টি 

পানাম নগর : 

সোনারগাওয়ের সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকা হলো পানাম নগর। এই নগরের একটা মাত্র রাস্তা। রাস্তার দুই পাশে সারি সারি অনেকগুলো প্রাচীন দালান। দালানগুলো প্রায় একশ বছরেরও আগের তৈরি। দালানগুলো অভূতপূর্ব স্থাপত্যশৈলী আর দৃষ্টিনন্দন কাজ নিয়ে আমাদের সংস্কৃতির নিদর্শন হিসেবে সগর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে ৷

লোকশিল্প জাদুঘর :

সোনারগাঁওয়ের লোকশিল্প জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেন শিল্পী জয়নুল আবেদীন। এ জাদুঘরটি যে বাড়িতে তৈরি করা হয়েছে তার আদি নাম বড় সর্দারবাড়ি। এ জাদুঘরটিতে রয়েছে আমাদের গ্রামীণ মানুষের তৈরি কাঠের জিনিস, মুখোশ, মৃৎপাত্র, মাটির পুতুল, বাঁশ-লোহা, কাঁসার তৈরি নানা জিনিস, অলংকার, জামদানি শাড়ি ও নকশিকাঁথা। এ জাদুঘরটিতে মূলত গ্রামীণ বাংলাদেশের সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে।

উপসংহার : 

সোনারগাও কালের সাক্ষী হয়ে এখনও সগর্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এই স্থানটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব অনেক। তাই এ স্থানটি দেখার জন্য প্রতিবছর হাজার হাজার পর্যটক আসে।

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad