আমাদের গ্রাম - রচনা [ ক্লাস 2, 3, 4, 5 ]

আমাদের গ্রাম রচনা - ১

অবস্থান : 

আমাদের গ্রামের নাম মিরপুর। একটি লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানায় অবস্থিত। আমার জন্ম এ গ্রামেই। এই গ্রামের ছায়াঘেরা মায়াময় কোলে হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমি বড় হয়েছি। এটি একটি আদর্শ গ্রাম।

বর্ণনা : 

আমাদের গ্রামটা দৈর্ঘ্যে প্রায় দেড় মাইল এবং প্রস্থে এক মাইল। আমাদের ইউনিয়নের মধ্যে আমাদের গ্রামটাই সবচেয়ে উন্নত। ছোট একটি খাল আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বড় খালের সাথে মিশেছে। গ্রামের এক পাশ দিয়ে ডিস্ট্রিক বোর্ড রাস্তা উপজেলা শহরের দিকে গিয়েছে। ফলে দেশের অন্যান্য স্থানের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভাল ।

জনসংখ্যা : 

আমাদের গ্রামটি ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে প্রায় ৩০০০ হাজার লোকের বাস। এর মধ্যে অধিকাংশই মুসলমান। কিছু হিন্দু ও বৌদ্ধ পরিবার আছে। গ্রামের প্রত্যেকেই নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত থাকে। গ্রামের প্রায় ৮০ ভাগ লোক কৃষিজীবী। আমাদের গ্রামে যথেষ্ট শিক্ষিত লোক আছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই চাকরি ও শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত।

গ্রামে কি কি আছে : 

আমাদের গ্রামে একটি মাদ্রাসা, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দুটি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। এছাড়া গ্রামে একটি ডাকঘর ও একটি পাঠাগার আছে। আমাদের গ্রামে তিনটি মসজিদ আছে। আমাদের গ্রামকে এক কথায় একটি আদর্শ গ্রাম বলা চলে ৷

উপসংহার : 

আমাদের গ্রামখানি প্রকৃতির সৌন্দর্যে একটি আনন্দের আবাসভূমি। এ গ্রামের আলো বাতাসে মানুষ হয়ে কেউ ডাক্তার, কেউ শিক্ষক হয়ে দেশ বিদেশে চাকরি করেন। বাস উপযোগী সর্বোৎকৃষ্ট একটি আদর্শ গ্রাম হিসাবে আমাদের গ্রাম উত্তরোত্তর উন্নতির দিকে এগিয়ে চলছে।

আমাদের গ্রাম রচনা - 2

সূচনা : 

আমাদের গ্রামের নাম বনপলাশী। গ্রামটি মানিকগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। গ্রামের একপাশ দিয়ে বয়ে গেছে বিশাল পদ্মা নদী ।

গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য : 

আমাদের গ্রামটি ছবির মতো সুন্দর। এখানে রয়েছে অনেকগুলো বিশাল আম, জাম, কাঁঠাল, বট আর পাকুড়গাছ। এছাড়া জারুল, কনকচাঁপা, কদম, শিউলি, বকুল, শিমুল, পলাশ, কৃষ্ণচূড়া ইত্যাদি ফুলের গাছ আছে। প্রতিটি মৌসুমে নানারকম ফুলে রঙিন হয়ে থাকে আমাদের গ্রাম ।

গ্রামের অধিবাসীরা : 

বনপলাশী গ্রামে প্রায় দুই হাজার লোকের বাস। তারা সবাই মিলে মিশে থাকে। কেউ ঝগড়াবিবাদ পছন্দ করে না। বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা থাকায় গ্রামে কোনো নিরক্ষর লোক নেই। এখানে আছে নানা পেশা ও নানা ধর্মের মানুষ। কেউ কৃষিকাজ করেন, কেউ ব্যবসায়, কেউ চাকরি। ঈদ, পূজা, বড়দিন আর নববর্ষে উৎসবে মেতে ওঠে পুরো গ্রামটি ।

আরও পড়ুন :আমাদের দেশ রচনা [৩য়, ৪র্থ, ৫ম শ্রেণি ] 

গ্রামে যা যা আছে : 

আমাদের গ্রামে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি লাইব্রেরি, একটি খেলার মাঠ, একটি বাজার, দুটি মসজিদ, একটি মন্দির ও একটি গির্জা আছে। গ্রামের শেষপ্রান্তের বড় মাঠে সপ্তাহে একদিন হাট বসে । গ্রামের খেতগুলোতে ফলে প্রচুর ধান, পাট, আখ ইত্যাদি । বড় বড় কয়েকটি পুকুরে নানারকম মাছের চাষ হয় । তাছাড়া পাশের পদ্মা নদী ও এর সঙ্গে যুক্ত খালে হরেক রকম মাছ পাওয়া যায় ।

গ্রামের মানুষের জীবন : 

বনপলাশীর মানুষ খুব কর্মঠ হলেও আমোদপ্রিয়। তারা অবসর সময়ে নৌকাবাইচ, হাডুডু, ঘুড়ি ওড়ানো ইত্যাদি ঐতিহ্যবাহী খেলায় মেতে ওঠে। অনেকে ফুটবল, ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টনও খেলে। আমাদের গ্রামে প্রতি পহেলা বৈশাখে হয় জমজমাট বৈশাখী মেলা ।

উপসংহার : 

আমাদের গ্রামকে নিঃসন্দেহে একটি আদর্শ গ্রাম বলা যায়। এ গ্রামকে আমরা সবাই মায়ের মতো ভালোবাসি ।

আরও পড়ুন : আমার জীবনের লক্ষ্য - রচনা [ class 2, 3, 4, 5 ]

আমাদের গ্রাম রচনা - 

সূচনা : 

আমাদের গ্রামটি ছোট হলেও এটি আমার কাছে অত্যন্ত প্রিয়। শিশু যেমন তার মায়ের কোলকেই বেশি সুখদায়ক মনে করে, আমাদের গ্রামটিও আমার কাছে তেমনি ।

অবস্থান : 

ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ২নং মির্জাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত আমাদের গ্রামটির নাম শেরপুর। এটি খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পশ্চিম পাশেই অবস্থিত। গ্রামটি শৈলকুপা উপজেলা অঞ্চলের উত্তরাংশের শেষ প্রান্তে একটি ক্ষুদ্র জনপদ। এটির পশ্চিমে যোগিপাড়া, পূর্বে মির্জাপুর এবং উত্তরদিকে পদমদী গ্রাম।

আয়তন ও লোকসংখ্যা : 

আমাদের গ্রামটি আয়তনে বেশি বড় নয়। দৈর্ঘ্যে প্রায় এক কিলোমিটার ও প্রস্থে আধা কিলোমিটারের চেয়ে কিছু কম হবে। ছোট-বড় কয়েকটি পাড়া নিয়ে আমাদের গ্রামটি। এখানে জনসংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। প্রায় সবাই মুসলমান ।

যাতায়াত ব্যবস্থা : 

ইউনিয়ন পরিষদের আধা পাকা সড়কটি আমাদের গ্রামের মধ্য দিয়ে আঁকাবাঁকা হয়ে খুলনা- কুষ্টিয়া মহাসড়ক ও শৈলকুপা উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। এ আধা পাকা সড়কই গ্রীষ্ম কিংবা বর্ষা সব ঋতুতেই
যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ।

প্রতিষ্ঠান ও বাজার : 

আমাদের গ্রামে একটি মাদ্রাসা আছে। এতে ছেলেমেয়েরা আরবি শিক্ষা গ্রহণ করে। ব্র্যাক নির্মিত ও পরিচালিত একটি প্রাইমারি স্কুল এবং সমাজ সেবক মরহুম আব্দুল জব্বার সাহেবের একটি জুনিয়র হাই স্কুল আছে। এটির নাম শেখ আব্দুল জব্বার মেমোরিয়াল স্কুল। এখানেই আমাদের গ্রামের ছেলেমেয়েরা শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। 

এ গ্রামে একটি পাকা মসজিদ এবং শেখ আব্দুল জব্বার স্মৃতি সংসদ নামে একটি ক্লাব আছে। আমাদের গ্রামে কোনো হাটবাজার নেই। অল্প কিছু দূরেই অবস্থিত মদনডাঙ্গা বাজার। গ্রামের লোকজন তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ওখান থেকেই সংগ্রহ করে থাকে।

জীবিকা ও পেশা : 

আমাদের গ্রামের লোকজন বিভিন্নভাবে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। যারা উচ্চ শিক্ষিত তারা তাদের যোগ্যতা অনুসারে কেউ শিক্ষক, কেউ সরকারি অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মচারী, কেউ শিল্পী এবং কেউবা লেখক। অধিকাংশই গ্রামের বাইরে অবস্থান করছেন। গ্রামে যারা আছেন তাদের মধ্যে শিক্ষক, ব্যবসায়ী, কৃষক প্রভৃতি শ্রেণির লোক আছে। তবে কৃষকের সংখ্যাই বেশি।

শিক্ষা : 

আমাদের গ্রামের লোকজন বেশি শিক্ষিত না হলেও নিরক্ষরের সংখ্যা কম। আশা করা যায় অদূর ভবিষ্যতে আমাদের গ্রামে নিরক্ষর কেউ থাকবে না ।

উপসংহার : 

সম্প্রতি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতায় আমাদের সারা গ্রাম বিদ্যুতায়িত হলেও জনজীবন বিদ্যুৎ চমকের মতো বৈচিত্র্যপূর্ণ নয় । এখানে ভালোমন্দ দোষগুণ সমৃদ্ধ অনেক লোক বাস করে। ফলে দিন দিন মানুষের মন থেকে সরলতা লোপ পাচ্ছে। আর একশ্রেণির খারাপ লোক গ্রামবাসীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তা সত্ত্বেও আমাদের গ্রামটাকে আমি ভালোবাসি।

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad