রচনা : আমাদের মাদ্রাসা ( ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণী )

উপস্থাপনা  

আমাদের মাদরাসার নাম ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া আলিয়া মাদরাসা। এটি একটি ঐতিহ্যবাহী আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । বাংলাদেশের বিখ্যাত মাদরাসাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

অবস্থান  

আমাদের মাদরাসাটি ফরিদগঞ্জ থানা সদরে অবস্থিত। এর পূর্বপাশ দিয়ে চাঁদপুর-রায়পুর যোগাযোগের পাকা প্রধান সড়ক চলে গেছে। মাদরাসার ২০০ গজ উত্তর দিয়ে বয়ে চলেছে ডাকাতিয়া নদী। দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশে রয়েছে দিঘি ও প্রশস্ত মাঠ ।

মাদরাসার বর্ণনা  

আমাদের মাদরাসার প্রধান ভবনটি ইংরেজি U সাইজের দক্ষিণমুখী। এটি চার তলা সুরম্য ভবন। ভবনটির দৈর্ঘ্য ৫০০ ফুট এবং প্রস্থ ২৫ ফুট। এর একটি মনোরম বারান্দা এবং ২৭টি কক্ষ আছে। তন্মধ্যে একটিতে অফিস, একটিতে শিক্ষকদের বিশ্রামাগার, একটিতে অধ্যক্ষ, একটিতে উপাধ্যক্ষ বসেন। 

অন্যান্য কক্ষের মধ্যে দুটি কক্ষে বিজ্ঞানাগার, একটি কক্ষে ভোকেশনাল যন্ত্রপাতি, একটিতে ছাত্রদের কমন রুম, একটিতে ছাত্র সংসদ, একটিতে লাইব্রেরি এবং বাকি ১৬টি শ্রেণিকক্ষ। প্রতিটি কক্ষেই প্রয়োজনীয় চেয়ার, টেবিল ও আসবাবপত্র রয়েছে। তাছাড়া দুটি টিনশেড ঘরও রয়েছে। 

আরও পড়ুন :-  আমাদের গ্রাম - রচনা [  ক্লাস 2, 3, 4, 5 ]

মাদরাসা প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয় এবং বিকাল চারটায় ছুটি হয়। দুপুরে ৪০ মিনিট নামাজ ও টিফিনের বিরতি দেওয়া হয়। মাদরাসার সামনে একটি প্রশস্ত মাঠ এবং বড় একটি দিঘি আছে। আর পেছনে একটি মসজিদ ও ছাত্রাবাস আছে। ছাত্রাবাসে দূরের ছাত্ররা বাস করে।

ছাত্র ও শিক্ষক  

আমাদের মাদরাসায় প্রায় এক হাজার ছাত্র এবং ২৫ জন শিক্ষক আছেন। অধ্যক্ষ সাহেব একজন খ্যাতনামা আলেম। তাছাড়া অন্য শিক্ষকগণও স্ব-স্ব বিষয়ে দক্ষ ও বিজ্ঞ । তাঁদের সুযোগ্য অধ্যাপনায় মাদরাসার সুনাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। 

প্রশাসনিক ব্যবস্থা  

আমাদের অধ্যক্ষ সাহেব একজন খ্যাতনামা জ্ঞানী এবং দক্ষ প্রশাসক। তাঁর প্রশাসনিক নীতি খুবই কঠোর। তাঁর কাছে কোনো অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি নেই। অনুপস্থিতির কারণে তিনি ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকেন। তাঁর সুযোগ্য পরিচালনায় মাদরাসাটি দিন দিন উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করছে।

আরও পড়ুন :-  ছোটদের মহানবী সাঃ - রচনা (২টি)

অনুষ্ঠানাদি  

আমাদের মাদরাসায় প্রতি বৃহস্পতিবার শেষ ঘণ্টার পর একটি সাংস্কৃতিক সভা হয়। এতে বিতর্ক, কবিতা, হামদ, নাত ও বিষয়ভিত্তিক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন ও দেয়ালিকা বের করা হয়। এমনকি বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও যথারীতি অনুষ্ঠিত হয়। 

ফলাফল  

আমাদের মাদরাসার পরীক্ষার ফলাফল বরাবরই সন্তোষজনক। প্রতিবছর বেশ কয়েকজন ছাত্র ইবতেদায়ী এবং জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করে থাকে । এছাড়া প্রায় প্রতি বছর দুই থেকে তিনজন ছাত্র বোর্ডের মেধা তালিকায় স্থান পায়৷ 

উপসংহার  

আমাদের মাদরাসাটি একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । এ মাদরাসাটির সুনাম সর্বত্রই ছড়িয়ে রয়েছে। এর সুনাম সুখ্যাতির জন্য আমরা গর্ববোধ করি।

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad