হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাঃ এর জীবনী

১। নাম ও পরিচয় : 

তাঁর নাম আবদুল্লাহ । পিতার নাম ওমর ইবনুল খাত্তাব । মাতার নাম যয়নব বিনতে মাযউন। তিনি কুরাইশ বংশোদ্ভূত একজন সাহাবী ছিলেন ।

২। জন্ম : 

তিনি রাসূল (স)-এর নবুয়ত লাভের এক বছর পূর্বে তথা ৬০৯ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

৩। ইসলামগ্রহণ : 

তিনি খুব অল্প বয়সে পিতা ওমর ইবনুল খাত্তাবের সাথে পবিত্র মক্কায় ইসলামগ্রহণ করেন। অতঃপর পিতা-পুত্র উভয়ে মদিনায় হিজরত শুরুর প্রথম দিকেই হিজরত করেন ।

৪। বিভিন্ন যুদ্ধে অংশগ্রহণ : 

অত্যন্ত ছোট ছিলেন বলে আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) ইসলামের সূচনা যুদ্ধ বদর ও উহুদে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তবে খন্দক যুদ্ধ থেকে শুরু করে পরবর্তী সকল যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন। বাইয়াতে রিদওয়ানেও তিনি উপস্থিত ছিলেন ।

৫। স্বভাব-চরিত্র : 

তিনি বহুবিধ গুণের অধিকারী ছিলেন। রাসূলের সুন্নাহর অনুসরণ, আল্লাহভীতি, বদান্যতা, স্পষ্টবাদিতা প্রভৃতি গুণে তিনি ছিলেন গুণান্বিত। 

আরও পড়ুন :- হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এর জীবনী

৬। হাদীস বর্ণনা : 

তিনি সর্বমোট ২৬৩০টি হাদীস বর্ণনা করেন। তাঁর নিকট হতে অনেক সাহাবী হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি সর্বাধিক হাদীস বর্ণনাকারীদের মধ্যে একজন। 

৭। হাজ্জাজের সাথে তাঁর বৈরী সম্পর্ক : 

একদা হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ জুমার খোতবাকে অত্যধিক দীর্ঘায়িত করে নামাযে অধিক বিলম্ব করলেন। এতে ইবনে ওমর (রা) প্রতিবাদের সুরে বললেন, সূর্য তোমার জন্য থেমে থাকবে না। এ নিয়েই উভয়ের মধ্যে বৈরী সম্পর্কের সূত্রপাত হয়।

৮। তিনি যেভাবে শহীদ হন : 

হজ্জব্রত পালনের সময় ইবনে ওমর (রা) হাজ্জাজের আগে আগে আরাফাসহ বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করতে লাগলেন। এসব ব্যাপারে তার অনুসরণ করা হাজ্জাজের জন্য অসহ্যকর হয়ে পড়ল। ফলে হাজ্জাজ তার অধীনস্থ এক ব্যক্তিকে নির্দেশ দিল তুমি তোমার বর্শার ফলকে বিষ মিশ্রিত করে লও। অতঃপর সে একদিন হাজ্জাজের নির্দেশে ইবনে ওমরের পায়ের পাতার ওপরে আঘাত করে। এ আঘাতের বিষক্রিয়ায় তিনি শাহাদাতবরণ করেন।

৯। শাহাদাতবরণ : 

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) ৬৯৫ খ্রিস্টাব্দ মোতাবেক হিজরী ৭৩ সালে মক্কার নিকটবর্তী কাখ নামক স্থানে ৮৬ বছর বয়সে শাহাদাতবরণ করেন। 

১০। জানাযা ও দাফন : 

তাঁর জানাযায় ইমামতি করেন হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফ। তাঁকে মুহাজিরদের কবরস্থান যি-ত্বাওয়াতে দাফন করা হয় ।

আপনার পছন্দ হতে পারে এমন আরও পোস্টের তালিকা

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad