বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র - ১ :
এলাহী ভরসা
প্রিয় মাহিন,
আমার প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। গতকাল আমাদের বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পত্রের মাধ্যমে তোমাকে সে সম্পর্কে লিখছি।
প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে ক্রীড়ানুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন থানা শিক্ষা অফিসার। তিনি রঙিন বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। প্রথমেই ছাত্রছাত্রীদের ১০০ মিটার দৌড় অনুষ্ঠিত হয়। এরপর দীর্ঘ লাফ, উচ্চ লাফ, চাকতি নিক্ষেপ, বর্শা নিক্ষেপ ইত্যাদি দুপুর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরের খাওয়ার বিরতির পর শুরু হয় সবচেয়ে আকর্ষণীয় অনুষ্ঠান ‘যেমন খুশি তেমন সাজো'। অনেকে নানা সাজে সেজে এসেছিল। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সেজেছিলাম। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় অনুষ্ঠানসূচি। বিকেল পাঁচটার পর অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণী আমি ১০০ মিটার দৌড় ও যেমন খুশি তেমন সাজো-তে দুটি পুরস্কার পেয়েছি। আজ আর নয়। তুমি ভালো থেকো।
প্রেরক ফারাবি কেরানীগঞ্জ ঢাকা |
ডাকটিকেট প্রাপক মাহিন জাফলং সিলেট |
আরও পড়ুন :- বার্ষিক পরীক্ষার ফল জানিয়ে বাবা এবং বন্ধুর নিকট পত্র
বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানের বর্ণনা দিয়ে বন্ধুর নিকট পত্র - ২ :
আল্লাহ মহান
প্রিয় পারভেজ,
শুভেচ্ছা নিও। গতকাল তোমার চিঠি পেয়েছি। আশা করছি ভালো আছ। গত ১৬ই মার্চ ২০২৪ আমাদের স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। এবারের ক্রীড়ানুষ্ঠান অত্যন্ত জাঁকজমক করে করা হয়েছে। রংপুর জেলার শিক্ষা অফিসার অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক সিরাজুল ইসলাম। আমাদের প্রধান শিক্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। তারপর স্কুলের কৃতী খেলোয়াড় কাওসার আহমেদ অলিম্পিক মশাল নিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন। অনুষ্ঠানটি দুই পর্বে বিভক্ত ছিল। আমি তিনটি খেলায় অংশ নিয়েছিলাম। ১০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়েছি। লং জাম্পে দ্বিতীয় হয়েছি এবং হাইজাম্পে অংশ নিয়েও কোনো ফল লাভ করতে পারিনি।
আমাদের ক্লাসের কামাল তিন খেলায় ৯ পয়েন্ট অর্জন করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় ছিল ‘যেমন খুশি তেমন সাজ' । এই বিশেষ প্রতিযোগিতাটি খুবই জমে উঠেছিল। দ্বিতীয় পর্বে ছিল পুরস্কার বিতরণী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমি একটি দেশাত্মবোধক গান ও একটি রবীন্দ্র সংগীত গেয়েছি। আমার গান শুনে শ্রোতারা মুগ্ধ হয়েছেন। প্রচুর হাততালি পেয়েছি। তুমি যদি এসময় কাছে থাকতে তাহলে খুব ভালো হতো ।
তোমার বাবা-মাকে আমার সালাম দিও। তোমার মঙ্গল কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
প্রেরক সোহাগ পীরগাছা রংপুর |
ডাকটিকেট প্রাপক পারভেজ ঘাটাইল টাঙ্গাইল |