আমার প্রিয় খেলা ফুটবল - বাংলা রচনা Class 6, 7, 8, 9, 10

উপস্থাপনা : 

ফুটবল আমাদের দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। এটি একটি বিদেশি খেলা। ফুটবল খেলা এতো জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে যে, অন্যান্য খেলা ফুটবলের কাছে ম্লান হয়ে গিয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে, অল্প ব্যয়ে, অল্প উপকরণে এই খেলাটি সম্পন্ন করা যায়।

জন্ম পরিচয় : 

ফুটবল খেলার জন্মকথা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে মতবিরোধ আছে । অনেকের মতে, বিদেশি খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারকগণ । আমাদের দেশে ফুটবল খেলার প্রবর্তন করেন । তবে আধুনিক ফুটবল খেলার জন্মদাতা ইংল্যান্ড ।

ফুটবলের বর্ণনা : 

এক প্রকার চামড়া দ্বারা তৈরি করা হয় ফুটবল। এর ভেতরে রাবারের একটি থলি থাকে। এ থলিতে পাম্পের সাহায্যে বাতাস ঢুকানো হয় । এ রাবারের থলিকে ব্লাডার বলে । ফুটবলের ওজন সাধারণত ১৪ আউন্স থেকে ১৬ আউন্সের মধ্যে হয়। ফুটবলের পরিধি ২৭ ইঞ্চি থেকে ২৮ ইঞ্চি পর্যন্ত হয় ।

আরও পড়ুন :-  আমার প্রিয় শখ - বাংলা রচনা |Sikkhagar

মাঠের বর্ণনা : 

খেলার মাঠটি সমতল হয়ে থাকে। এর দৈর্ঘ্য ১১৫ গজ এবং প্রস্থ ৭৫ গজ হয়ে থাকে। মাঠের দুপ্রান্তে গোলপোস্ট. পোঁতা হয়। গোলপোস্টের পেছনে দড়ির জাল দেয়া থাকে। গোলপোস্টের উপর যে বাঁশ বা কাঠ পোঁতা থাকে তাকে বার বলে। গোলপোস্টের এক পোস্ট থেকে অন্য পোস্টের দূরত্ব ৮ গজ এবং গোলপোস্টের বার মাঠ থেকে ৮ ফুট উঁচুতে থাকে।

খেলার সময় : 

আন্তর্জাতিক নিয়মে ফুটবল খেলার সময় ৯০ মিনিট। মাঝখানে ১৫ মিনিট বিরতি থাকে। বিরতির পর খেলোয়াড়দের সাইড পরিবর্তন করা হয়ে থাকে ।

খেলোয়াড়ের বিবরণ : 

দু'দলে ফুটবল খেলা হয়। প্রত্যেক দলে ১১ জন করে খেলোয়াড় থাকে। এদের মধ্যে একজন গোলরক্ষক, দু'জন ব্যাক, তিনজন হাফ ব্যাক, পাঁচজন ফরোয়ার্ড।

খেলার নিয়ম : 

গোলপোস্টের সামনে যে মানুষটি দাঁড়িয়ে থাকে এবং গোল রক্ষা করে যাতে বল গোলপোস্টের ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে তাকে গোলরক্ষক (Goal Keeper) বলা হয়। গোল রক্ষকের উভয় পার্শ্বে জন খেলোয়াড় থাকেন এদের দুপাশে আরো ২ জন খেলোয়াড় মজুদ থাকে এরা যথাক্রমে ব্যাক ও স্টপার ব্যাক নামে পরিচিত। 

আরও পড়ুন :-  দেশ ভ্রমণ - বাংলা রচনা | ক্লাস 6, 7, 8, 9, 10

স্টপার ব্যাকদের সামনে আরো তিনজন মধ্য মাঠের খেলোয়াড় থাকে। মধ্য মাঠের খেলোয়াড়দের সাহায্যের জন্য আর ৩জন আক্রমণকারী খেলোয়াড় থাকেন। ব্যাক স্টপার ব্যাক প্রতিপক্ষের নিক্ষিপ্ত বল গোল পোস্ট প্রবেশ হতে বাঁচিয়ে রাখে। মধ্য মাঠের এবং আক্রমণকারী খেলোয়াড়গণ বলটিকে গোল গোলপোস্টের ভিতরে প্রবেশ করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে থাকেন। 

ফুটবল খেলাটি পরিচালনা করেন একজন রেফারি। রেফারিকে সাহায্য করে দুজন লাইন্সম্যান । কোন খেলোয়াড় খেলার নিয়ম ভঙ্গ করলে রেফারি হলুদ কার্ড দেখিয়ে তাকে সতর্ক করেন। গুরুতর অপরাধ করলে লাল কার্ড দেখিয়ে তাকে মাঠ থেকে বের করে দেন ।

উপকারিতা ও অপকারিতা : 

ফুটবল খেলার উপকারিতা ও অপকারিতা দুই-ই আছে। এ খেলাটি শরীরের ব্যায়ামের জন্য অনেক বেশি উপকারী।  এ খেলায় শরীর মজবুত হয়। নিয়ম- শৃঙ্খলা মেনে চলতে হয় বলে এ খেলার মধ্য দিয়ে নিয়মানুবর্তিতা, কর্তব্যজ্ঞান, আদেশ পালন প্রভৃতি শিক্ষা হয় । তবে অসতর্কতার দরুন অনেক সময় হাত-পা ভেঙে অনর্থের সৃষ্টি হয় ।

উপসংহার : 

ফুটবল খুব উত্তেজনাপূর্ণ ও আনন্দদায়ক খেলা। খেলোয়াড় ও দর্শক উভয়পক্ষই এ খেলায় বেশ আনন্দ লাভ করে থাকে । বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে লীগ, শীল্ড, কাপ ইত্যাদি প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয় ।

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad