বিড়াল অথবা আমার পোষা প্রাণী বিড়াল : রচনা ( ৩টি )

বিড়াল রচনা - ১

সূচনা  

বিড়াল গৃহপালিত চতুষ্পদ প্রাণী। শখ করে অনেকে বিড়াল পুষে থাকে। তুলতুলে লোমে ভরা বিড়াল দেখতে খুব সুন্দর।

আকৃতি  

বিড়ালের চেহারার সঙ্গে বাঘের চেহারার অনেক মিল আছে বলে বিড়ালকে ‘বাঘের মাসী' বলা হয়। এর সমস্ত শরীর লোমে ঢাকা। পায়ের তলায় নরম মাংস আছে। এর মাথা গোলাকার এবং মুখে গোঁফ আছে। এরা হাঁটলে শব্দ হয় না।

প্রকৃতি  

বিড়াল খুবই নিরীহ এবং আরাম প্রিয় প্রাণী। আদর পেলে সব সময় কাছে কাছে থাকে। এরা নরম তুলতুলে বিছানায় থাকতে পছন্দ করে। অন্ধকারেও এরা দেখতে পায়। এরা শিকার ধরে সাথে সাথে খেয়ে ফেলে না। অনেক সময় ধরে খেলা করে তারপর খায়। 

জন্মের কয়েকদিন পরে বিড়ালের চোখ ফোটে। হুলো বা পুরুষ বিড়াল ছানাগুলোকে পেলে মেরে ফেলে তাই বিড়াল ছানাগুলোকে হুলোর চোখ থেকে এড়িয়ে রাখতে চেষ্টা করে। বিড়াল সাধারণত সাত/আট বছর বাঁচে।

আরও পড়ুন :- গরু - রচনা [  Class 1, 2, 3, 4, 5, 6 ]

খাদ্য ও প্রাপ্তিস্থান  

বিড়াল মাছ, গোশত, দুধ, ভাত ইত্যাদি খেয়ে বেঁচে থাকে। এরা ছোট পাখি এবং পোকামাকড় ধরে খায়। গ্রীষ্মপ্রধান দেশে বিড়ালের সংখ্যা অধিক।

উপকারিতা  

বিড়াল আমাদের অনেক উপকার করে থাকে। এরা ইঁদুর, পোকামাকড় ইত্যাদি শিকার করে আমাদেরকে এদের উপদ্রবের হাত থেকে রক্ষা করে।

উপসংহার

বিড়াল ইঁদুর এবং পোকামাকড়ের উপদ্রবের হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। সুতরাং এর যত্ন নেয়া আমাদের উচিত।

বিড়াল রচনা - ২

সূচনা  

বিড়াল একটি পোষা প্রাণী। এরা মানুষের ঘরে বাস করে। মানুষ সখ করে বিড়াল পোষে। বিড়াল মানুষের সঙ্গ পছন্দ করে।

পোষা প্রাণীর বর্ণনা  

বিড়াল দেখতে অনেকটা বাগের মতো। এরা সাধারণত এক থেকে দেড় ফুট লম্বা এবং সাত থেকে দশ ইঞ্চি উঁচু হয়ে থাকে। বিড়ালের চারটি পা, দুটি কান, দুটি চোখ ও একটি নাক আছে। বিড়ালের পায়ের নখ খুবই ধারালো। 

এদের মুখ গোলাকার এবং চোখ দুটি জ্বলজ্বলে। রাতের অন্ধকারেও এরা পরিষ্কার দেখতে পায়। এদের শরীর ঘন লোমে ঢাকা। বেশিরভাগ বিড়ালের গায়ের রং সাদা হয়। এছাড়া কালো, ধূসর, বাদামি, লালচে রঙের বিড়াল দেখা যায় । 

খাদ্যাভ্যাস  

বিড়ালের সবচেয়ে প্রিয় খাবার হলো দুধ। দুধভাত খেতে বিড়ালের খুব পছন্দ। এছাড়া ভাত, মাছ, মাছের কাঁটা, মাংস ইত্যাদি খেয়ে এরা বেচে থাকে ।

আরও পড়ুন:-  ঘোড়া রচনা - ২টি (একটা ছোট একটা বড়)

আবাসস্থল  

পৃথিবীর সব দেশেই বিড়াল দেখতে পাওয়া যায়। এ প্রাণীটি লোকালয়ে, মানুষের সান্নিধ্যে থাকতে পছন্দ করে। আমাদের ঘরের কোণে কিংবা অনেক সময় বিছানায়ও এটি রাত্রিযাপন করে ।

প্রকৃতি  

বিড়াল বেশ শান্ত এবং অলস স্বাভাবের হয়ে থাকে। বিড়ালের চেহারা এবং স্বভাব কিছুটা বাঘের মতো বলে বিড়ালকে বলা হয় বাঘের মাসি । 

উপকারিতা  

এরা খুব ভালো শিকার করতে পারে। বিড়াল ইঁদুর ধরতে পছন্দ করে। এছাড়া নানা রকম পোকামাকড় শিকার করে আমাদের পরিবেশকে নিরাপদ রাখে।

উপসংহার  

বিড়াল আমাদের উপকারী বন্ধু। তাই এদের প্রতি আমাদের সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত।

বিড়াল রচনা - ৩

ভূমিকা  

বিড়াল একটি পোষা প্রাণী। এটি দেখতে অনেকটা বাঘের মতো। তাই একে বাঘের মাসী বলা হয়। অনেকে শখ করে বিড়াল পোষে। আমারও একটা পোষা বিড়াল আছে। এর নাম পুসী। আমি পুসীকে খুব ভালোবাসি ।

রং  

বিড়াল দেখতে খুব সুন্দর। আমাদের দেশে সাদা, কালো, ধূসর নানা রঙের বিড়াল দেখতে পাওয়া যায়। 

আকৃতি  

বিড়াল ছোট প্রাণী। এর শরীর নরম লোমে আবৃত। এর চারটি পা, দুটি উজ্জ্বল চোখ, খাড়া দুটি কান এবং একটি লম্বা লেজ আছে। এর মাথা গোলাকার এবং নখগুলো খুব ধারালো। এর পায়ের নিচে নরম মাংসপিন্ড আছে। তাই বিড়াল নিঃশব্দে হাঁটতে পারে।

স্বভাব বা প্রকৃতি  

বিড়ালের স্বভাব আদুরে। এরা ঘুমাবার সময় ঘড় ঘড় শব্দ করে। আনন্দ ও ক্ষুধায় মিউ মিউ করে ডাকে। মাঝে মাঝে রান্নাঘর থেকে খাদ্যদ্রব্য চুরি করে থাকে। বিড়াল দ্রুত দৌড়াতে পারে। বিড়াল একসাথে একাধিক বাচ্চা প্রসব করে থাকে। 

এরা নরম ও গরম জায়গায় ঘুমাতে ভালোবাসে। বিড়াল শিকারী প্রাণী। শিকারী প্রাণী হিসেবে ইঁদুর ধরে মারা বিড়ালের প্রধান কাজ। এরা খুব বুদ্ধিমান ও চতুর। এরা দিনে ঘুমায় এবং রাতে শিকার করে থাকে।

আরও পড়ুন :- গাছ আমাদের বন্ধু - বাংলা রচনা

খাদ্য  

বিড়াল ভাত, মাছ, মাংস ও দুধ খেয়ে জীবনধারণ করে। দুধ ওর খুবই প্রিয় খাদ্য।

উপকারিতা  

বিড়াল খুবই উপকারী প্রাণী। এটি ইঁদুর, সাপ ও অন্যান্য ক্ষতিকর পোকামাকড় শিকার করে থাকে। এটি এদের হাত থেকে আমাদের ঘরবাড়ি মুক্ত রাখে। এছাড়া কৃষকের ধান ক্ষেত থেকে ইঁদুর মেরে কৃষকের উপকার করে থাকে।

অপকারিতা  

বিড়ালের লোম পেটে গেলে যক্ষ্মারোগ হবার আশঙ্কা থাকে। বিড়াল সুযোগ পেলেই তাজা মাছ আর দুধ চুরি করে খায়। তাই এরা যখন চুপচাপ থাকে তখনও বিশ্বাস করা যায় না। এজন্যই ‘বিড়াল তপস্বী' প্রাণী কথাটি চালু হয়েছে।

উপসংহার  

বিড়াল খুব বিশ্বস্থ ও উপকারী পোষা প্রাণী। তাই আমাদের উচিত এদের প্রতি সদয় হওয়া। আমার পুসীকে 'আমি খুব যত্ন করি ও ভালোবাসি। পুসীও আমাকে অত্যন্ত ভালোবাসে।

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad