ভাবসম্প্রসারণ : দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য (২টি)

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুগণ, তোমাদের শেখার সুবিধার্থে "দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য" ভাবসম্প্রসারণটি ২টি বই থেকে সংগ্রহ করে দেয়া হলো। তোমাদের কাছে যেটা সবচেয়ে সহজ মনে হয় সেটাই শিখে নিতে পারো। 

দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ - ১

মূলভাব : বিদ্যা অমূল্য ধন, তবে তার সাথে চরিত্র যোগ না হলে তা দুর্জনে পরিণত হয়। দুর্জন ব্যক্তির সঙ্গ সর্বদা পরিত্যাগ করাই শ্রেয়।

সম্প্রসারিত ভাব : বিদ্যা মানুষের ভূষণ। এই বিদ্যার মাধ্যমে সে তার সুন্দর চরিত্র গঠন করে। কিন্তু যে ব্যক্তি বিদ্বান অথচ চরিত্রহীন তার বিদ্যার কোনো মূল্য নেই। এরূপ লোকের দ্বারা কোনো ব্যক্তি বা সমষ্টির উন্নতি সাধিত হয় না। দুর্জন লোক মহামূল্যবান মণিবিশিষ্ট সর্পের মতো। সর্পের মণি মহামূল্যবান জেনেও কিন্তু কোনো বুদ্ধিমান লোক সর্পের সাহচর্য লাভ করতে চায় না। এতে সর্পের বিষাক্ত ছোবলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ার আশঙ্কা থাকে। 

তদ্রুপ বিদ্বান দুর্জন হলে ব্যক্তি এবং সমাজ কারও কোনো উপকার করতে পারে না। প্রবাদে আছে, “সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।” বিদ্যা মানুষের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করে। বিদ্যার্জনের মাধ্যমে মানুষ যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠে। সুন্দর চরিত্র গঠনের মাধ্যমেই বিদ্বান তার মহত্ত্বের উৎকর্ষ ঘটান। কিন্তু সে যখন তার সুন্দর চরিত্র গঠনে অক্ষম হন, তখন তার সকল প্রকার সৎ গুণাবলি ম্লান হয়ে যায়। তার বিদ্যা থাকা সত্ত্বেও তা কোনো কাজে আসে না ।

মন্তব্য : বিদ্বান ব্যক্তি দুর্জন হলে সে সমাজের বিষধর সর্পে পরিণত হয়। তার সাহচর্যে এলে সুফলের পরিবর্তে কুফলের সম্ভাবনাই বেশি থাকে। এ কারণে তাদের সাহচর্য ত্যাগ করা উচিত।

আরও পড়ুন :- ভাবসম্প্রসারণ : বিদ্যা অমূল্য ধন (২টি)

দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য ভাবসম্প্রসারণ - ২

মূলভাব : বিদ্বান ব্যক্তি সর্বত্র সম্মানিত। কিন্তু দুর্জন অর্থাৎ খারাপ প্রকৃতির লোক বিদ্বান হলেও সে সমাজের দুশমন। সকলেই তাকে ঘৃণা করে ।

সম্প্রসারিত ভাব : বিদ্যার মতো দামী সম্পদ মানুষের আর নেই। বিদ্বান মানুষকে সবাই সম্মান করে। জ্ঞানী মানুষের সংস্পর্শে এলে জ্ঞানের আলোয় মন আলোকিত হয়; এতে উন্নত চরিত্র গঠনের সুযোগ পাওয়া যাই । কিন্তু বিদ্বান ব্যক্তি যদি দুর্জন অর্থাৎ খারাপ প্রকৃতির হয়, তবে তার বিদ্যার কোনো মূল্য থাকে না । এরূপ ব্যক্তির সান্নিধ্য কেউ কামনা করে না। 

সকলেই তাকে ঘৃণা করে । দুর্জন ব্যক্তি সাপের সাথে তুলনীয় । তার আর্জত বিদ্যার তুলনা করা চলে সাপের মাথার মণির সাথে। মানুষ সাপকে ভয় করে। কাছে গেলেই জীবননাশ সুনিশ্চিত । প্রাণনাশের ভয়ে কেউ সাপের মাথার মূল্যবান মণি আনতে সাহস পায় না । বিদ্বান ব্যক্তি যদি খারাপ প্রকৃতির হয় তবে সেও সাপের মতো ভয়াবহ। তার কাছ থেকে বিদ্যা লাভ করে জীবনের কোনো কল্যাণ সাধন হয় না; বরং তার কাছ থেকে ক্ষতি হওয়ারসম্ভাবনা বেশি।

মন্তব্য : আমাদের বিদ্যা অর্জনের জন্য সুজন ও সচ্চরিত্র ব্যক্তির নিকট যাওয়া উচিত ।

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad