মুনাফিক কাকে বলে? মুনাফিকের আলামত বা লক্ষণ কয়টি ও কি কি

উপস্থাপনা : মুনাফিকরা ইসলাম ও মুসলমানদের চিরশত্রু। কাজেই সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে তাদেরকে চিহ্নিত করতে হবে। আর তাদেরকে চিহ্নিত করতে হলে মুনাফিকের আলামত সম্পর্কে জানতে হবে। নিম্নে প্রশ্নালোকে এ ব্যাপারেই আলোচনা পেশ করা হলো ।

মুনাফিক শব্দের অর্থ :-

  • ক.  মনে যা আছে তার বিপরীত প্রকাশকারী। 
  • খ. مخفي الاصل  তথা মূল বিষয় গোপনকারী ।
  • গ. প্রতারক।
  • ঘ. ধোঁকাবাজ ইত্যাদি ।

পারিভাষিক সংজ্ঞা :- 

সংজ্ঞা :- ইসলামি পরিভাষায় অন্তরে কুফর ও অবাধ্যতা গোপন রেখে মুখে ইমানদারসুলভ বাক্য উচ্চারণ এবং লোক দেখানো অনুষ্ঠান সম্পন্ন করাকে নিফাক বলে। যে ব্যক্তি এরূপ আচরণ করে, তাকে মুনাফিক বলে। 

মুনাফিকের আলামত বা লক্ষন :- 

মুনাফিকের আলামত হচ্ছে চারটি। যথা- 

  • ১. সে যখন কথা বলে মিথ্যে  বলে ।
  • ২. কেউ আমানত রাখলে খেয়ানত করে ।
  • ৩. কাউকে ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে।
  • ৪. কারো সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হলে অশ্লীল কথা বলে। 

যেমন রাসূল (স)-এর বাণী-

عن عبد الله بن عمر قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اربع من كنا فيه كان منافقا خالصا - ومن كانت فيه خصله منهن كانت فيه خصله من النفاق حتى يديها اذا حدث كذب واذا عا هدا غدر واذا و عد اخلف واذا خاصم فجرا

অর্থাৎ, প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (স) ইরশাদ করেন, যার মাঝে চারটি স্বভাব পাওয়া যাবে সে খাঁটি মুনাফিক আর যার মাঝে এ স্বভাবগুলো হতে কোনো একটি স্বভাব পাওয়া যাবে সে তা পরিহার না করা পর্যন্ত তার মাঝে নেফাকের একটি স্বভাব আছে বলে পরিগণিত হবে। 

আর নেফাকের চারটি স্বভাব হচ্ছে- ১. যখন সে কথা বলে, মিথ্যা বলে। ২. কারো সাথে চুক্তি করলে, তা ভঙ্গ করে। ৩. কারো সাথে কোনো ওয়াদা করলে, তা ভঙ্গ করে। ৪. কারো সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হলে, অশ্লীল কথা বলে । কাজেই নেফাকের স্বভাবটি পরিত্যাগ না করলে সে খাঁটি মুমিন হতে পারবে না। অতএব খাঁটি মুমিন হওয়ার জন্য নেফাকের স্বভাবগুলো অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে।

উপসংহার : উপরে বর্ণিত চারটি স্বভাব যার মাঝে পাওয়া যাবে, তাকে খাঁটি মুনাফিক হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। সুতরাং সকলের উচিত এসব মন্দ স্বভাব সম্পূর্ণরূপে পরিহার করা।

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad