রচনা : বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় বাগান (২টি)

বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় বাগান রচনা - ১

ভূমিকা : 

প্রতিটি আদর্শ বিদ্যালয়ে মাঠ ও বাগান থাকা অপরিহার্য। মাঠে ছাত্র-ছাত্রীরা খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করবে। বাগানের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তাদের মনকে সজীব রাখবে। আমাদের বিদ্যালয়ে এমনই একটি বাগান আছে।

বর্ণনা : 

আমাদের বিদ্যালয় ভবনটি ইংরেজি L অক্ষরের আকারে দক্ষিণ ও পূর্বমুখী। এর সামনের আঙিনায় বাগানটির অবস্থান। সেখানে প্রায় নয়-দশ প্রজাতির ফুলের গাছ আছে। শীতকালীন ফুলের মধ্যে আছে ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা ও গোলাপ। বর্ষাকালীন ফুলের মধ্যে আছে দোলনচাঁপা ও কয়েক রকমের ঘাসফুল। এ ছাড়া বাগানের চারদিক ঘিরে আছে বর্ণিল পাতাবাহার গাছ। এগুলো এর সৌন্দর্য অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। মৌসুমি ফুলগুলো ফুটলে বাগানের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ফুলের মিষ্টি ঘ্রাণে বিদ্যালয়ের আঙিনা ভরে যায়।

গুরুত্ব : 

আঙিনার বাগানটি বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে। এর ফুলের সৌরভ বিদ্যালয়ের পরিবেশকে করেছে মনোরম। বাগানের প্রতিটি ফুলগাছের গায়ে তার নাম লেখা রয়েছে। এতে করে ছাত্র- ছাত্রীরা সহজেই নানা ফুলের নাম জানতে পারে । সুতরাং বাগানটি তাদের জন্য শিক্ষামূলকও হচ্ছে। এটি দেখে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নিজ বাড়িতে এমন বাগান তৈরি করার আগ্রহ জাগছে ।

আরও পড়ুন : রচনা : এই দেশ এই মানুষ / প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ

রক্ষণাবেক্ষণ : 

বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের বাগানটি মূলত আমাদের শ্রেণিশিক্ষক সেলিম স্যারের উদ্যোগ ও পরিশ্রমে গড়ে উঠেছে। তিনি অবসর সময়ে নিজের হাতে বাগানের যত্ন করে থাকেন। এ কাজে আমরাও তাঁকে সাহায্য করি। প্রতি সপ্তাহে আমরা নিয়ম করে বাগানের যত্ন নিয়ে থাকি। বাগানটিকে গরু-ছাগল এবং দুষ্ট ছেলেদের হাত থেকে রক্ষার জন্য আমরা বাঁশের বেড়া দিয়েছি। 

উপসংহার : 

আমাদের বিদ্যালয়ের আঙিনার বাগানটিকে আমরা খুব ভালোবাসি । কারণ বাগানটি থেকে আমরা নানাভাবে উপকৃত হই । এছাড়া বাগানটি আমাদের বিদ্যালয়ের সৌন্দর্য বহু-গুণে বাড়িয়ে দিয়েছে ।

বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় বাগান রচনা - ২

ভূমিকা : 

আমাদের বিদ্যালয়ের নাম রাজারবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের সামনে যে আঙিনা রয়েছে, সেখানে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা মিলে একটি বাগান করেছি। আয়তনে বাগানটি বেশ বড়। এতে ফুল, ফল এবং বিভিন্ন ঔষধি গাছ রয়েছে । 

রক্ষণাবেক্ষণ : 

স্কুল আঙিনায় আমাদের এই প্রিয় বাগানটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব হলো চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের। কাজের ধরন অনুযায়ী দায়িত্ব ভাগ করা আছে। যেমন- বাগানের আগাছা প্রতি বৃহস্পতিবার চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দলবেঁধে পরিষ্কার করে। পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা বাগানের অন্যান্য কাজগুলো করে থাকি। যেমন- বাগানে নতুন গাছ লাগানো, কোনো গাছে সমস্যা বা পোকা দেখা দিলে শিক্ষকের পরামর্শ নিয়ে পরিচর্যা করা, বাগানের পাশে বেড়া দেয়া, প্রতিটি গাছের নাম লিখে ঝুলিয়ে রাখা ইত্যাদি।

আরও পড়ুন : রচনা : আমাদের বিদ্যালয় - রচনা : ( ২য়, ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণি )

বর্ণনা : 

বিদ্যালয়ের আঙিনায় তৈরি করা বাগানটিকে আমরা মোট তিন, অংশে ভাগ করেছি । বাগানটির চারপাশে রয়েছে মৌসুমী ফুলের চারা। সারা বছর সেগুলোতে বিভিন্ন ফুল ফোটে। বাগানের মাঝখানের অর্ধেক জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন ফলের গাছ এবং অন্য অর্ধেকে রয়েছে ঔষধি গাছ। ফুল, ফল আর ঔষধি মিলিয়ে সর্বমোট একত্রিশ প্রকারের গাছ রয়েছে।

গুরুত্ব : 

পৃথিবীতে গাছের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। এছাড়াও বাগানের বিভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে। যেমন- বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী বাগানের গাছগুলোর নাম জানতে পারে। প্রতিটি গাছের গুণাগুণ এবং বৈশিষ্ট্য দেখতে পারে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুলের প্রয়োজন হয়। তখন আমরা বাগান থেকে ফুল সংগ্রহ করি। বাগানে যেসব ঔষধি গাছ রয়েছে, সেগুলো মানুষের চিকিৎসার কাজে অবদান রাখে। এছাড়া বাগানের পাকা ফল নিজ হাতে ছিঁড়ে খেতে দারুণ লাগে। এক কথায়, আমাদের বিদ্যালয়ের আঙিনার বাগানটির গুরুত্ব অপরিসীম।

উপসংহার : 

বিদ্যালয়ে আমরা পাঠ শেখার উদ্দেশ্যেই শুধু যাই না, বরং নতুন কোনো বিষয় সম্পর্কে জানতে, নতুন কাজ শিখতেও যাই। আমাদের বিদ্যালয়ের বাগানটি যেন আমাদের কর্মক্ষেত্র। এখানে আমরা কাজ করে ভীষণ আনন্দ পাই। এই বাগানের প্রভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতেও একক বাগান করতে উৎসাহী হচ্ছে।

Post a Comment

0 Comments

Bottom Post Ad